মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলো ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। খুচরার পাশাপাশি খামারি পর্যায়েও দাম কমেছে ৩০ টাকা। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি পেলেও হতাশ হয়ে পড়েছে দেশের প্রান্তিক খামারিরা।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরা, নাখালপাড়া, মহাখালী কাঁচাবাজার, মগবাজার চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, মগবাজার শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে গত ২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবারের পাইকারী বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পাইকারী রেটে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে গড়ে ১২৫ টাকা কেজি দরে। অথচ ১ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা দরে। এদিকে গত কালের পাইকারী বাজারে গাজীপুরে ১২৮ টাকা, বরিশালে ১২৫ টাকা, ময়মনসিংহে ১২৫ টাকা, বগুড়ায় ১২৮ টাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও এমনি কাছাকাছি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।
এদিকে খামারিরা বলছেন, খাদ্যের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২০০-৩০০ টাকা । পাশাপাশি একদিন বয়সী বাচ্চার দামও চড়া । কিন্তু হঠাৎ করে রেডি মুরগির বাজার এভাবে কমে যাওয়ায় অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলেও তারা জানান।
কুড়িগ্রাম সদরের ব্রয়লার খামারি জামাল আক্ষেপের সুরে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ে কিন্তু ব্রয়লার মুরগির আর দাম বাড়েনা। একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ৫৫ টাকা দরে কিনে বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে খাদ্য কিনে খাওয়ায়ে ২২ দিন লালন পালন করে ১৩০ টাকায় বিক্রি করলে কয় টাকা লাভ থাকবে সেই প্রশ্নই ছুড়ে দেন তিনি।