ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে তরমুজ। মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা রোপনের মাত্র ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে তরমুজ হারভেস্ট করা যায়। তাই বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ উপযোগি না হলেও মালচিং পদ্ধতিতে বিদেশী জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে জেলার কৃষকদের।
জানা যায়, মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে তৈরি করা হয়েছে তরমুজের বীজতলা। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পলিথিন ছিদ্র করে মাটির মধ্যে বপন করা হয় তরমুজের বীজ। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা থেকে বড় হয়ে গাছে পরিণত হচ্ছে। আর গাছ গুলোর লতাপাতা বিস্তারের জন্য বাঁশ, সুতা ও তারের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাচা।
কৃষক মঞ্জুর আলম বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তরমুজ চাষে প্রতিবিঘা জমিতে ৫০-৫৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। লাভ কত হবে জানিনা। তবে আশা করি প্রকৃতি সহায় থাকলে প্রতিবিঘা জমির তরমুজ ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রয় করতে পারবো।
কৃষক ও উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন সুমন জানান, সরকারিভাবে বা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে পরামর্শ বা সহযোগিতা করা হলে তারা আরও ভালো লাভ করতে পারবেন বলে জনান তিনি।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু হোসেন বলেন, আমরা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সম্ভব হলে পরবর্তীতে আমাদের বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় মরিচের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার