
করলা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার চাষিরা। স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে করলার ব্যাপক চাহিদা ও কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হবার পাশাপাশি বাজারমূল্য ভাল হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তারা। এছাড়াও উপজেলায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষির সংখ্যা।
জানা যায়, স্থানীয় চাষিরা আম বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে করলা চাষ করতেন। প্রথম প্রথম স্থানীয় হাট-বাজারে এ ফসল বিক্রি করতেন তারা। পরে করলা চাষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেন সাপাহারে। ফলে করলা চাষ করে লাভবান হন চাষিরা। তিতা করলাই হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।
সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতিমন করলা এক হাজার থেকে বারশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক চাষিরা। তারা বলছেন, অস্থায়ীভাবে উপজেলা সদরের বাইরে এই স্থানে করলার বাজার গড়ে না উঠলে এখানকার করলা চাষীরা এই হারে করলা চাষাবাদ করতনা। এখন করলা চাষ করে বিক্রি করার তেমন কোন ভয় নেই তাদের। বর্তমানে তারা সহ অনেকেই এখন করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।
করলা চাষি মালেক বলেন, অস্থায়ীভাবে উপজেলা সদরের বাইরে করলার বাজার গড়ে ওঠায় এখানকার করলা চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।
অস্থায়ী ওই বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাগন জানান, প্রতিদিন এই অস্থায়ী কয়েক ঘন্টার বাজার হতে প্রায় ১শ’ থেকে ১৫০টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।