ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশি মুরগি পালনে সফল হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। স্বল্প পুঁজিতে মুরগির ব্যবসা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের সাইদুল ইসলাম এখন বেশ স্বাবলম্বী উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের চারপারা গ্রামের সাইদুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী। লকডাউনে দোকানপাট খুলতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়ে যান সাইদুল ইসলাম। পরে দেশি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন সফলতা পান তিনি।
জানা যায়, ইউটিউবের ভিডিও দেখে দেশি মুরগি পালনে আগ্রহী হয়ে শুরু করেন দেশি মুরগি পালন। সাইদুল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি ছোট মুরগির সেড তৈরি করে ৩৫টি দেশি মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দুইটি ভালোমানের মুরগির সেড এবং ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার দেশি মুরগি রয়েছে। এখন তার দেখাদেখি অনেকেই মুরগি পালন শুরু করেছেন।
খামারি সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রবল ইচ্ছা ও মনোভাব থাকায় আমি আমার নিজ জমিতে দেশি মুরগি পালন শুরু করি। মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে আমার দুইটি মুরগির সেড রয়েছে এতে আমার মুরগি জায়গা হয় না। আমি আরো দুইটি মুরগির সেড তৈরি করবো। প্রতি মাসে এখন থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং আরও মুরগির ফার্ম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি পালনের ইচ্ছা আছে আমার।
তার খামারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। এবং প্রতিটি মুরগির বাচ্চা বিক্রয় আকার ভেদে ৫০-৭০ টাকায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে মুরগির খামার দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে তার ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। তার কাছ থেকে খামার করার বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ পোল্ট্রি খামারে দৈনন্দিন কাজের তালিকা
পোলট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার