
চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলার কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কলা চাষে নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন জেলার অনেক চাষি। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লোকসান গুনছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় কলা চাষ হয়েছে ৮৮২ হেক্টর জমিতে। শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর থেকে মাগুরা সদর উপজেলায় কলার চাষ বেশি হয়েছে। স্থানীয় বাজারসহ এখানকার কলা ঢাকায় বাজারজাত হয়ে থাকে।
বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এক কাদি চাপা কলা (স্থানীয় নাম ঘাউর) ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সবরি কলার কাদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, সাগর ও রঙ্গিন মেহের সাগর কলা কাদি পাইকারি বিক্রি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সেখানে প্রতি কাদি কলা ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় নেমে এসেছিল।
মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের হুলিনগর গ্রামের কলা চাষি সোহরাব হোসেন জানান, সংসারে অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পেতে কলা চাষ করেছি। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারি ও কঠোর লকডাউনের কারণে কলার ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে। তিনি বলেন, আমার দেখা দেখি এই এলাকায় বেশ কয়েকজন কলা চাষে ঝুঁকেছেন।
স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই চাষাবাদ শুরু করেছেন। করোনার আগে কলার ভাল দাম পেলেও বর্তমানে তেমন একটা দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় চলতি বছর কলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে বিগতদিনের কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে কলা ব্যবসায়ীরা না আসায় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। করোনা পরিস্থিতি ভাল হলেই চাষিরা ভালো দাম পাবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।