সুপারির দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় চাষিরা। এ জেলার উৎপাদিত সুপারি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে চাষিদের অভিযোগ চলতি মৌসুমে দাম কমে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সুপারি আবাদ হয়। কেউ ফসলি জমিতে, কেউ বাড়ির আঙিনায়, কেউবা বাগান করে সুপারি চাষ করেন। স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ, তাই চাষ বাড়ছে দিন দিন। চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। বাজারে ৮০টি সুপারির প্রতি পোন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। ১৬ পোনের প্রতি কাহন সুপারি বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
গাছ পাকা সুপারি বিক্রি ছাড়াও আরও দু’ভাগে সুপারি প্রক্রিয়া হয়ে থাকে এ অঞ্চলে। একভাগ পানিতে ভিজিয়ে অপর ভাগ শুকিয়ে। ৭০ ভাগ সুপারি পানিতে ভিজিয়ে বাইরে সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। আর শুকনো সুপারি বিক্রি হচ্ছে টন প্রতি ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায়।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ৫০০ কোটি থেকে ৬০০ কোটি টাকার অর্থের এই আবর্তনকে কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।